মো.জাকির হোসেন,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার পলাশকান্দায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ৭ দিন অজ্ঞাত স্থানে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ৪৫ বছর বয়সের ব্যাক্তি মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। মজিবুর রহমান উপজেলার বালিখাঁ ইউনিয়নের মৃত.গিয়াস উদ্দিনের পুত্র।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) তারাকান্দা থানায় স্কুলছাত্রীর মা মোছা.বকুল নাহার বাদী হয়ে
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নম্বর -১৮) দায়ের করেন।
তারাকান্দা থানা সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রীর বাবার বাড়ী নরসিংদীর শিবপুরে তার বাবা- মা জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় থাকেন। তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো এ স্কুল শিক্ষার্থী (১৫)। একই বাড়ীতে পাশের গ্রামের মজিবুর রহমান ঘর জামাই থাকতো। একই বাড়ীতে পাশাপাশি বসবাস করার সুবাধে স্কুলছাত্রীকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্ব করে জোরপূর্বক ২১ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১.৪৫ টায় অপহরণ করে ঢাকাস্থ তুরাগ থানাদিন গোলগোলা মোড় এলাকায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে রেখে শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক কয়েকবার ধর্ষণ করে মজিবুর রহমান।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশের এসআই আব্দুস সবুর এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আসামি মুজিবুর রহমান ঘর জামাই রূপে ভিকটিমের নানার বাড়ি পলাশকান্দায় বসবাস করত। নানা সময়ে ভিকটিমকে উত্ত্যক্ত করার কথা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ভিকটিমের মা বকুল নাহার।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুরাগ থানাদিন গোলগোলার মোড় এলাকা থেকে ভিকটিমসহ আসামিকে গ্রেফতার করে তারাকান্দা থানা পুলিশ। মামলার আসামি মজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধারের পর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।