ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার আমতলী এলাকায় অবস্থিত কটন গ্রæপের শ্রমিকরা গত মে মাসের বেতন ও ছাটাইয়ের প্রতিবাদে ৪ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে শিল্প ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে দাবির বিষয়ে আশ্বস্থ্য করা হলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, কটন গ্রæপে তারা নারী পুরুষ মিলে তিন হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। ঈদের দুইদিন আগে তাদের কোন বেতন না দিয়ে বোনাসের ৪ হাজার টাকার জায়গায় এক হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে বিদায় করা হয়। ঈদের পর ফ্যাক্টরী খুলা হয়ে তারা কাজে যোগদান করতে মিল গেইটে যায়। কিন্তু তাদেরকে ভেতরে ডুকতে দেয়া হয়নি। দীর্ঘ সময় গেইটের সামনে বসে থেকে বাসায় চলে যেতে হয়েছে। পরে মোবাইলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে তাদেরকে আর ফ্যাক্টরীতে যেতে হবেনা। লাগলে পরে জানানো হবে। এরই প্রতিবাদে তারা প্রথমে মিল গেইটে বিক্ষোভ ও পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, তাদেরকে বহিরাগতদের দিয়ে অব্যাহতভাবে হুমকী দেয়া হচ্ছে আন্দোলন না করার জন্য। সরকারী নিয়মে তাদেরকে ছাটাই না করে বহিরাগতদের মাধ্যমে হুমকী দিয়ে তাদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্যও কোন কোন শ্রমিককে বলা হচ্ছে।
ফ্যাক্টরীর এ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফুল ইসলাম জানান, দেড় বছর আগে তিন হাজার শ্রমিক ছিলো। বর্তমানে এক হাজার ৯০০ শ্রমিক নিয়ে কাজ করছি। কোন বকেয়া বেতন তাদের পাওনা নেই। ঈদের আগে ৫০ ভাগ বোনাসের টাকা দেয়া হয়েছে। এখন বাকি টাকা দিয়ে দেয়া হবে। বর্তমানে ফ্যাক্টরীতে কোন কাজকর্ম নেই। ছাটাইয়ের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এখনকার পরিস্থিতির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ভাবছেন।
ময়মনসিংহ শিল্প পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠার জানান, কটন ফ্যাক্টরীতে কিছু শ্রমিককে কাজে যোগদান করতে না দেয়ায় শ্রমিকরা মহাসড় অবরোধ করে। পরে শিল্পপুলিশ, থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ছেড়ে মিল গেইটে অবস্থান করতে বললে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে।