মো.জাকির হোসেন,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার সার্বিক দিক নির্দেশনায় ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফুলবাড়িয়ায় নারী পোষাক কর্মী হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং খুনী মোঃ রাজাবালীকে (৪০) গ্রেফতার করেছে। সে জেলার ফুলবাড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকার মৃত-নেকবর আলীর পু্ত্র। এ সময় ভিকটিমের মোবাইল ও জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়।
তথ্য মতে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকায় গত ১০ জুন সকাল অনুমান পৌনে এগারটাযর সময় অজ্ঞাতনামা এক মহিলার বিবস্ত্র (৩০) লাশ পাওয়া যায়। তার খুনিও ছিলো অজ্ঞাতনামা। এমন সংবাদ পাওয়ার পর ফুলবাড়িয়া থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) জয়িতা শিল্পীসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ কামাল আকন্দের তত্বাবধানে একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কার্যক্রম শুরু করেন। সেখানে জেলা সিআইডি পুলিশ, র্যাব, পিবিআই পুলিশও ছায়া তদন্তে নামে।
লাশের সাথে ছোট একটি কাগজে মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে ডিবি পুলিশ বিরামহীন অভিযানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহতের পরিচয় সনাক্ত হয়। নিহতের পিতা মোঃ মজিবর রহমান ছিন্নাই পাড়া, থানা- কালিহাতি, জেলা- টাংগাইল। ফুলবাড়িয়া এসে লাশ তার মেয়ে পারভীন বলে সনাক্ত করেন।
পরে নিহতের পিতা অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১(৬)২০২০। ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। শুরু থেকেই পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত করে। বিভিন্ন সংস্থা মাঠে কাজ করতে থাকে। জেলা গোয়েন্দা সংস্থার পুলিশ টানা প্রায় ৪৮ ঘন্টা মাঠে থেকে তথ্যানুসন্ধান চালিয়ে ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামীকে গ্রেফতার করে।
ঘটনাটি প্রলোবনকে বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়ে খুনের শিকার হন গার্মেন্টস কর্মী ভিকটিম। ৬ মাস আগে মোবাইল ফোনে মিসকলের মাধ্যমে ভিকটিমের সাথে পরিচয় হয় ফুলবাড়িয়া থানার শ্রীপুর সাকিনে রাজাবালীর সাথে। তারপর থেকে ফোনে ফোনে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়। প্রথমবার রাজাবালী মেয়েকে তার কাছে এনে ভালোভাবেই ফেরত পাঠিয়েছে। গত ৯ জুন বিয়ে করবে বলে রাজাবালী মেয়েকে আবার নিয়ে আসে। তারপর ভিকটিমকে ধর্ষন করে। মেয়েটি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় তাকে রাজাবালী খুন করে।
উল্লেখ্য, ভিকটিমের বিয়ে হয়েছিল। সংসারে ৭ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত ২ বছর ধরে গাজীপুর কোনাবাড়িতে বাসা ভাড়ায় থেকে গার্মেন্টেসে কাজ করতো। ধৃত আসামী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে পুলিশ জানায়।
ফুলবাড়িয়ার নারী পোষাককর্মী হত্যার রহস্য উদঘাটন : খুনি গ্রেফতার
0
Share.